প্রতিবার মেয়েরা কোন কিছু অর্জন করলেই কোথা থেকে যেনো একজন বিশ্বজয়ী হাফেজের আবির্ভাব ঘটে। মেয়েরা ট্রফি জেতার আগে পর্যন্ত কোথাও আপনি তার নাম খুঁজে পাবেননা। এমনকি এরকম কোন প্রতিযোগীতা পৃথিবীর কোথাও হচ্ছে সেটাও আপনি জানতে পারবেন না। ধপাস করেই এই হাফেজের আবির্ভাব ঘটবে। আবার কয়দিন পর ধুপ করে হারিয়ে যাবে। হাফেজদের এসব প্রতিযোগীতা কি মেয়েদের টুর্নামেন্টের সাথে মিল রেখে দিনক্ষণ ধার্য্য করা হয়? নাকি প্রতিবার কাকতালীয়ভাবে মিলে যায়?
এরপর একদল লোক দাবী তুলবে এইসব বিশ্বজয়ী হাফেজদেরকেও ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেয়া লাগবে। বাংলাদেশের হুজুররা সারাজীবনই ছাদখোলা গাড়িতে চলাফেরা করে অভ্যস্ত। তারা বাসের ছাদে চড়ে তাবলীগে যায়, ট্রাকভর্তি করে হুজুরেরা ইজতেমায় যায়, পিকাপে করে ওয়াজ মাহফিলে যায়। ছাদ আটকানো গাড়িতে তারা কদাচিৎ ভ্রমণ করে। সংবর্ধনা নেয়ার জন্য আলাদা করে ছাদখোলা গাড়ি কেন দরকার পড়বে সেটাই তো বুঝলাম না। এভাবে যে সংবর্ধনা দেয়া যায় সেটা কি তারা আগে জানতো? ১৪০০ বছর আগে মুসলিমরা যখন একের পর এক যুদ্ধ জয় করছিলো, তখন কি তাদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেয়া হতো?
তারা সর্বোচ্চ দাবী করতে পারে তাদেরকে ছাদখোলা উটের পিঠে চড়িয়ে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য। সেটা কিছুটা ইসলামসম্মত হতে পারে।
Nafis Sadique Shatil
নাফিস সাদিক শাতিল

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন