বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় ওয়াজের মাইক থেকে এবং ১০ হাত দূরে দূরে মসজিদ থেকে একসাথে ৮-১০ টা মাইক লাগিয়ে দিনের ভেতর পাঁচবার "আ-ল্লাহ সবচেয়ে বড়" বলে গগণবিদারী আর্তনাদের মাধ্যমে। বাংলাদেশের লক্ষাধিক মসজিদের মাইকগুলো থেকে যেই জোরে জোরে আল্লা-হর বড়ত্ত্বকে প্রচার করে, তাতে যদি কাজ হতো তাহলে আল্লা-হর শরীরের আয়তন এতদিনে কয়েক হাজারগুণ বড় হয়ে যাওয়ার কথা।
যেকোন মস-জিদের কাছাকাছি যাদের বাড়ি তারা এই আওয়াজের তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করে টিকে আছে। এদের ভেতর প্রাক্টিসিং মুস-লিমও আছে। এরা চূড়ান্ত বিরক্ত, কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারেনা। নবীর আমলে মাইক বলে কিছু ছিলনা। খালি গলায় আজান দিতো। নবীর সুন্নাহ মানলে বর্তমানের মুস-লিমদেরও সেটাই করা উচিত। কিন্তু তারা বে-ধর্মী প্রযুক্তি ব্যবহারেই বেশি শান্তি পায়। বেশি জোরে আজান দিয়ে নিজেদেরকে বেশি মুস-লমান প্রমাণের চেষ্টা করে।
ইস'লাম ধর্মের অনুসারীরা নিজেদের সংখ্যার বলে মানুষকে বি-র-ক্ত করার ভেতর একধরণের পৈশাচিক আনন্দ পায়। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের চরিত্র এরকমই। একারণে তারা রাস্তা আটকে যখন ঈ-দের নামাজ পড়ে, তখন সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা তাদের মাথায় আসেনা; কিন্তু রথযাত্রার কারণে যদি রাস্তায় সামান্য যানজটের সৃষ্টি হয় তখন তাদের অভিযোগের অন্ত থাকেনা। পূজার সময় মন্দিরে আর রাস্তায় লাইটিং আর মানুষের ভেতর আনন্দ উদ্দীপনা দেখে তারা হিংসায় জ্বলে-পুড়ে যায়। আনন্দ উৎসব মানুষ প্রাচীন কাল থেকে করে আসছে। হুট করে কোথা থেকে ইসলাম উড়ে এসে সবকিছুকে কেড়ে নিলে তার অবচেতন মন তো বিদ্রোহ করবেই। সেই কষ্ট আর ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটে অন্যদেরকেও এসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার চেষ্টার মাধ্যমে।
এই হু-জুরেরা নিজেরা কিছুই পালন করতে পারেনা। কিন্তু তার চোখের সামনে কেউ পালন করুক সেটাও সহ্য করতে পারেনা। একারণে যেকোন উদযাপনের মুহুর্ত আসলেই এসব ধ-র্ম ব্যবসায়ীদের ফতোয়ার ফুলঝুড়ি দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো তারা যতটুকু ইস-লাম প্রতিষ্ঠার স্বার্থে করে, তার থেকে বেশি করে আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে না পারার কষ্টে-আক্ষেপে।
আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট পড়ে জানলাম পশু-পাখি নিয়ে তার বিস্তর চিন্তা। আচ্ছা নবীর আমলে ন-বীর নির্দেশে আরবে যে হাজার হাজার কুকুর মা-রা হয়েছিলো সেটাও কি তাহলে অমানবিকতা ছিলো হুজুর? নবী যে সাপ দেখলে মে-রে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সেটা কি ঠিক নাকি ভুল হুজুর? নবী যে কাক, চিল, ইদুর হ-ত্যার লাইসেন্স দিয়ে গেছেন সেটা কি উনি ঠিক করেছেন হুজুর? একজন প্রাণীপ্রেমী হিসেবে আপনার মতামত কি হুজুর?
হুজুরের শিশু-বৃদ্ধদের নিয়েও খুব চিন্তা। তা হুজুর যেসব ইসলামিক বক্তা ৫০-১০০ টা মাইক লাগিয়ে ওয়াজ করে, তাদের বিরুদ্ধে তো কোনদিন কথা বলতে দেখলাম না। রোজার মাসে রাত ২ টা থেকে বিকট শব্দে বাচ্চা-বুড়ার ঘুমের চৌদ্দটা বাজিয়ে যে সাইরেন বাজায় সেটা নিয়ে তো কিছু বলতে শুনলাম না।
বাজি-পটকা আমিও অপছন্দ করি। কিন্তু এসব ভন্ড মোল্লারা কোন উৎসব আসলে যেটা করে সেটা ভন্ডামী। এদের ভেতর কোন প্রাণীপ্রেমও নাই, শিশু-বৃদ্ধদের নিয়ে কোন চিন্তাও নাই। শুধু আছে হিংসা, ঘৃণা আর আক্ষেপ।
Nafis Sadique Shatil
নাফিস সাদিক শাতিল
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন