মুস-লি-মরা যখন বাক স্বাধীনতার কথা বলে তখন তারা আসলে তাদের বাক স্বাধীনতার কথা বলে। অন্য ধর্মের লোকেদের নয়। তারা যখন ধর্মীয় উগ্রতা রুখে দেয়ার কথা বলে, তখন তারা অন্য ধর্মের উগ্রতার কথা বোঝায়। নিজেদের ধর্মেরটা নয়। তারা যখন পোশাকের স্বাধীনতার কথা বলে, তখন সেটা বোরকা-হিজাবের স্বাধীনতার কথা বলে, অন্য কোন পোশাকের নয়। তারা যখন মিডিয়ার স্বাধীনতার কথা বলে, অবশ্যই সেটা সেক্যুলার মিডিয়ার স্বাধীনতার কথা বলেনা। শুধুমাত্র ইসলামি মিডিয়ার কথা বলে।
তারা যখন ধ-র্মী-য় সংগঠন নিষিদ্ধের কথা বলে তখন, অবশ্যই সেটা অন্য ধর্মের ধর্মীয় সংগঠনের কথা বোঝায়। নিজেদেরটা নয়। তারা যখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বলে, অবশ্যই ই-স-লামি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা বলেনা। তারা যখন বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসনের কথা বলে, তখন মধ্যযুগীয় আরব্য সংস্কৃতিটা বাদে অন্যগুলোর কথা বলে। তারা যখন মোনাজাত ধরে শান্তি কামনা করে, তখন শুধুমাত্র মু-স-লিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে, অন্য কোন ধর্মের অনুসারীদের জন্য করেনা। কারণ সেটাই তাদের ধর্মীয় নির্দেশ।
প্রতিটা বিষয়ের ইসলামি সংজ্ঞা আছে। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেসব সংজ্ঞাগুলো আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন ইসলামে ধর্ষণের সংজ্ঞা, আর আন্তর্জাতিক আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ আলাদা। ইসলামিক মানবাধিকার, আর 'মানবাধিকার' একদমই আলাদা। তাই কোন মু-সলি-মের মুখে বাকস্বাধীনতা, কালচারাল হেজিমনি, ধর্মীয় উগ্রতা, উগ্র ধর্মীয় সংগঠন, মানবাধিকার, নারী অধিকার, ফ্যাসিবাদ- এসব টার্ম শুনলে আগে তার কাছে এসবের ডেফিনিশন জিজ্ঞেস করুন। নাহলে কয়দিন পর ইসলামিস্টরা হাতে কলমে উদাহরণসহ সংজ্ঞা বুঝিয়ে দিবে। তখন কান্নাকাটি করে লাভ হবেনা।
Nafis Sadique Shatil
নাফিস সাদিক শাতিল
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন