জ-ঙ্গি-বাদের উত্থান অঙ্কুরে বিনষ্ট করে না দিলে খুব মুশকিল। এই ভুলের মাশুল দিতে হয় অনেকদিন। বাংলাদেশের মডারেট মুসলমানেরা এখনো ধর্ম অজ্ঞ। এরা জীবনে কোরানের অনুবাদ পড়েনি, হাদিস পড়েনি। এরাই বেশি বিপজ্জনক। কোরান হাদিস ভালোভাবে জানলে হয় সে নাস্তিক হবে, নাহয় জ*ঙ্গি হবে। বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ এর কোনটাই হয়না, কারণ এরা শুনে মুসলমান। আবার এরাই জ-ঙ্গি তৈরীর কারখানাগুলোর প্রধান ডোনার।
বাংলাদেশী মুসলমানরা অন্য দেশের মুসলমানদের চেয়ে দুইটা ফরজ বেশি পালন করে। একটা হলো ভারতবিদ্বেষের ফরজ, আরেকটা হলো গরু খাওয়ার ফরজ। মাদ্রাসাশিক্ষা আর ওয়াজ মাহফিল চালু রেখে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়। যেখানে সেখানে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো মাদ্রাসা গজিয়ে ওঠা বন্ধ করতে হবে। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনেক শর্ত আরোপ করতে হবে। একটা লম্বা প্রসেস তৈরী করতে হবে। যাতে কেউ আজ চাইলে কালই নতুন একটা মাদ্রাসা দাঁড় করিয়ে ফেলতে না পারে।
ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে বাচ্চাদের বড় অংকের টাকা উপবৃত্তি দিতে হবে। ব্যাগ স্কুলড্রেস স্কেল পেন্সিল থেকে শুরু করে শিক্ষার সকল উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করতে হবে। গ্রামের দরিদ্র পিতামাতা খরচের ভয়ে সন্তানকে কওমী মাদ্রাসায় পাঠায়। তাদেরকে এসব সুযোগ সুবিধা দিয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর জন্যে কনভিন্স করতে হবে। কওমী মাদ্রাসায় প্রতিনিয়ত ধ-র্ষণের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনাগুলোকে মিডিয়ার মাধ্যমে লাইমলাইটে আনতে হবে। বেশি বেশি অভিভাবকদের দৃষ্টিগোচর করতে হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল গঠন করে এসব দোষী মাদ্রাসা শিক্ষকদের সাজা দিতে হবে। সেটা প্রচার করতে হবে।
পাঠ্যপুস্তকে অতি অবশ্যই লজিক এবং লজিক্যাল ফ্যালাসি যুক্ত করতে হবে। বাচ্চারা যুক্তি কুযুক্তির পার্থক্য বুঝলে নিজেরাই কুযুক্তি নির্ভর আলোচনায় (যেমন প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ কিংবা জাকির নায়েকের লেকচার) আগ্রহ হারাবে। বাচ্চাদের কৌতুহলী এবং প্রশ্ন করতে শেখার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক গল্প যোগ করতে হবে। সকল ধরনের ধর্মগুরুদের জীবনী পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিতে হবে। ধর্মশিক্ষাকে ঐচ্ছিক করতে হবে। বাচ্চাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুখস্ত না করিয়ে তারা যাতে হৃদয়ে ধারণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে বাকস্বাধীনতা, পোশাকের স্বাধীনতা জানাতে হবে। লিঙ্গ এবং সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন বিষয়ে বিশদ ধারণা দিতে হবে। বিবর্তন পড়াতে হবে। মৌলবাদী জ-ঙ্গি মানসিকতার শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
এসব ইনিশিয়েটিভ এখন থেকে ১৫-২০ বছর আগে নেয়া হলেও জেন জির মতো একটা নষ্ট প্রজন্ম তৈরী হতোনা বলে আমি মনে করি। আমি ভবিষ্যতের কথা ভেবে পোস্টটা লিখলাম। বর্তমানে যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের কাছে আমি কিছুই আশা করিনা। তারা পারলে সকল স্কুল কলেজ ভার্সিটি ভেঙে মাদ্রাসায় রুপান্তর করবে। তাতেই তাদের লাভ। যদি কখনো দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক সরকার আসে এবং তারা যদি বাংলাদেশকে একটা সভ্য সুন্দর শিক্ষিত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে এগুলো অবশ্যই করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন