মাঝে মাঝে খুব অবাক লাগে যে পৃথিবীতে এত এত মু-স-লিম ইস-লামকে ধর্ম হিসেবে পালন করে। কিন্তু এই ধর্মের নিজস্বতা বলতে কিছুই নেই। তাদের নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, আজান, ওজুসহ বেশিরভাগ বিষয়ই অন্য ধর্ম থেকে ন-ক-ল করা হয়েছে। তাদের ধর্মগ্রন্থের অনেক কিছুই অন্য ধর্মের গ্রন্থ থেকে ন*ক- ল করা। মু-সলি-মরা মূর্তিকে ঘৃ ণা করে, আবার একটা অচল অথর্ব কালো পাথরকে চুমু খায়। তারা মানুষের তৈরী প্রতিমার বিরোধীতা করে, আবার নিজেরাই মানুষের তৈরী কাবাঘরকে সিজদাহ করে। সেলুকাস।
এসব থেকেই বোঝা যায় ই-স-লা- ম ধর্ম পুরোপুরি পৌত্তলিক প্রভাবমুক্ত নয়। বরং ইহুদি, খ্রিষ্টান, প্যাগান, জরাথুস্ট্রাসহ কয়েকটি ধর্ম থেকে এটা সেটা নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে এই ধর্ম তৈরী করা হয়েছে। ই-স-লা-ম চালু হওয়ার পর মদিনার পৌত্তলিকদের দেখাদেখি ইসলামের নবী দুটি উৎসবের দিন নির্ধারণ করেন। গোটা একটা জাতির এত কোটি কোটি অনুসারীদের কোন মৌলিক উৎসব নাই। কি দুর্ভাগ্য। ই-সলা-মের আবিষ্কারকের উদ্ভাবনী ক্ষমতা এতই কম ছিলো যে, তার মাথা থেকে নতুন কোন উৎসবের ধারণা বের হয়নি। আফসোস।
আজ প্রবারণা পূর্ণিমা, আশ্বিনী পূর্ণিমা, কোজাগরী পূর্ণিমা, শারদ পূর্ণিমা। আজ বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম একটি ধর্মীয় উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে: রাজকুমার সিদ্ধার্থ সন্নাসব্রত গ্রহণের পর ভাবলেন এই সন্নাসজীবনে এমন রাজকীয় বাহারি চুলের কি দরকার! তরবারি দিয়ে চুল কেটে চুলের গোছা ছুড়ে দিলেন আকাশের দিকে। স্বর্গের দেবতা ইন্দ্র সেই চুলের গোছাকে হীরা-মনি দিয়ে সাজিয়ে রাখলেন, যার নাম 'চুলামনি চৈত্য'। বৌদ্ধধর্মের অনুসারীরা আকাশে ফানুস উড়িয়ে চুলামনি চৈত্যের পূজা করে।
বাহারি রঙের ফানুস যখন আকাশে ওড়ে তখন রাতের আকাশটা রঙিন হয়ে যায়। দেখতে সুন্দর লাগে। এই সৌন্দর্য মু-স-লি-মদের কাছে মূল্যহীন। তাদের কাছে 'সুন্দরের' সংজ্ঞাটা আলাদা। তাদের উৎসবে নেই কোন আনন্দ, নেই উদযাপন, নেই কোন সৌন্দর্য, নেই কোন সৃজনশীলতা। পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের উৎসবে সমস্ত বিশ্বের সব ধর্মের বিভিন্ন জাতির মানুষ অংশ নিলেও, একমাত্র মু-স-লমানদের কাছেই আপনারা শুনবেন, "ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার।" কি কুৎসিত কথা।
আ-ল্লা হ যেন সমস্ত অসুন্দরকে একসাথে জোড়া লাগিয়ে এই ধর্মটা তৈরী করেছেন। যাইহোক সকলকে প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
Nafis Sadique Shatil
নাফিস সাদিক শাতিল
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন