কোরানের সূরা মায়িদাহর ৫১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, "হে মু’মিনগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও খৃষ্টা*নদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করোনা, তারা পরস্পর বন্ধু; আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে নিশ্চয়ই সে তাদেরই মধ্যে গণ্য হবে; নিশ্চয়ই আ-ল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেননা।"
সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান সারাদিন কয়েকশ কোটিবার এই আয়াতটি পড়ে এবং মনে প্রাণে আয়াতটিকে বিশ্বাস করে। ওয়াজ মাহফিলে, জুম্মার বয়ানে, ফেসবুকে ইউটিউবে লক্ষ লক্ষ বার বলা হয় কোন মুস-লিম কোন ইহুদি খ্রিষ্টানকে বন্ধু বানাতে পারবেনা।
এখন, কোন ই-হু-দি/খ্রি-ষ্টান/নাস্তিক কেউ যদি বলে, "হে শান্তিপ্রিয় জনগণ! তোমরা কোন মু-সল মানকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করোনা।" তখন কি ঘটনা ঘটবে কল্পনা করতে পারেন? সারা বিশ্বের মু-স-লমা'নরা একযোগে ইসলাম্ফোবিয়ার গান জুড়ে দিবে। যে এই কথা বলেছে তার ফাঁ-সি চাইবে। তাকে হ**ত্যা করার জন্য খুঁজে বেড়াবে। বিভিন্ন মুস লিম দেশে তার নামে মামলা হবে। অথচ তারাই এই কথাটি অন্য ধর্মের মানুষের বেলায় কি অবলীলায় বলে বেড়ায়।
কোরানের অসংখ্য আয়াতে ইহু দি, খ্রিষ্টা ন, বে ধর্মী, পৌত্তলিকদের প্রতি চরম ঘৃ;ণা, বিদ্বেষ পোষণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বলা হয়েছে, এমনকি যেখানে পাও সেখানে হ+ত্যা করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এসব আয়াত সারাদিন একযোগে উচ্চস্বরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তারা বলে বেড়ায়। কিন্তু বিশ্বের কোন ই-হু'দি, হি'ন্দু, খ্রি'ষ্টা-ন কারোরই অনুভূতি আহত হয়না। কেউ তাদেরকে ই-হু'দিফোবিক, খ্রি-ষ্টা'নফোবিক, মূর্তিপূজারীফোবিক বলেনা। কিন্তু আসলে তারা সেটাই।
যে আপনাকে হ*ত্যা করার আইডিওলোজি অন্তরে লালন করে, আপনাকে বাগে পেয়ে আপনার কাছ থেকে নতমস্তকে জিজিয়া কর আদায়ের আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যে সারাদিন আপনার ধ্বংস চেয়ে তার সৃষ্টিকর্তার কাছে কাকুতিমিনতি করে, যে আপনার সম্পত্তিকে গণিমতের মাল হিসেবে ভোগ করার সুযোগ খোঁজে, তার সেই নৃ-শংস নির্মম ভয়ংকর আইডিওলোজির উপর কি আপনার ভালোবাসা জন্মাবে? নাকি বি-দ্বেষ জন্মাবে?
Nafis Sadique Shatil
নাফিস সাদিক শাতিল
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন