বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণে কোরান বিতরণ!



পৃথিবীর সমস্ত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন গবেষণাগারের দাবী উত্থাপন করে, রিসোর্স বাড়ানোর দাবী করে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণ উল্টো। এখানের শিক্ষার্থীরা মসজিদ বানানোর দাবী করে, নামাজের সময় ক্লাস বন্ধ রাখার দাবী করে, হিজাব পরে মুখ ঢেকে আইডেন্টিটি হাইড করে পরীক্ষায় বসার অযৌক্তিক দাবী করে।


জাবিতে নবীনবরণে ১৫০০ কোরান বিতরণ করেছে 'কোরান এন্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাব' নামক কোন একটা ক্লাব। সেই প্রোগ্রামের জাবির উপাচার্য বলেছেন, "ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর এ জীবনবিধান পরিপূর্ণভাবে ধারণ করতে হলে কোরআনের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।" এই কথা উপাচার্য নিজ মুখে বললেও তার নিজের জীবনে তিনি এর প্রয়োগ করেন বলে মনে হয়না। ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান মানলে আজ তিনি বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্য হতেন না, কোন জ--ঙ্গি, জি--হাদি দলের নায়েবে আমির হতেন। আমার ধারণা তিনি কখনো কোরান অর্থসহ পড়েও দেখেননি।


বাংলাদেশী মডারেট মুসলিমদের সমস্যা এটাই। ইসলামকে না জেনে, না বুঝে পালন করা। এই ইসলাম সম্পর্কে ন্যুনতম পড়াশোনা না করা শিক্ষিত মুসলমানরাই দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী। এরাই মাদ্রাসায় টাকা দেয়, এরাই মসজিদগুলোর বড় ডোনার, এদের বাড়িতে হুজুরেরা গিয়ে গান্ডেপিন্ডে গিলে এসে ফেসবুকে না-স্তি-ক ক-ত-লের ফতোয়া দেয়। তারা নিজেরা কখনোই কোরান হাদিস তর্জমাসহ পড়ার প্রয়োজন অনুভব করেনা। নিজেরা অনৈসলামিক জীবনযাপন করে, কিন্তু দেশে শরিয়াহ চায়। নিজেরা সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে, কিন্তু মাদ্রাসায় ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর চলা অমানবিক পাশবিক অত্যাচারকে পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে।


১৫০০ কপি কোরান বিতরণ করায় আমি খুশি। আমি চাই বাংলাদেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে এক কপি করে কোরানের বাংলা অনুবাদ দেয়া হোক। তাদেরকে কোরানের বাংলা পড়তে বাধ্য করা হোক। আমি শতভাগ নিশ্চিত কোরানের বাংলা অর্থ বুঝে পড়লে কোন ব্যক্তি মডারেট মুসলিমে পরিণত হবেনা। কেউ হয়তো উগ্রপন্থী হবে, কেউ হয়তো নাস্তিক হবে। অন্তত আল্লাহভীরু মুসলিম মডেল, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী চিত্রনায়িকা, পরিপূর্ণ পর্দাশীল টিকটকার, কিংবা দ্বীনের পথে দ্বায়ী গায়কদের মত আজব চিড়িয়া তৈরী হবেনা।


Nafis Sadique Shatil

নাফিস সাদিক শাতিল

মন্তব্যসমূহ