মামা- ভাগ্নে: গামলা কাহিনী



গতকাল রাতে আমি আর ভাগ্নে একসাথে ঘুমিয়েছিলাম। মধ্যরাতে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে আমার ঘুম ভেঙে যায়। খাট থেকে নামতে যাবো এই সময় ভাগ্নে বললো, "মামা কোথায় যাচ্ছো?" আমি বললাম, "দাড়া বাথরুম থেকে এসে কথা বলছি।"


ভাগ্নে বললো, "না মামা, তুমি ঘরেই হিসু করে দাও।" আমি বললাম, "তুই কি পাগল হয়েছিস? ছি ছি ছি। কি ঘেন্নার কথা বলছিস। তোকে তো আমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হিসেবেই জানতাম। তুই এসব নোংরা কথা বলছিস কেনো?"


ভাগ্নে বললো, "কেন মামা যারা ঘরে হিসু করে তারা কি নোংরা অপরিষ্কার?" আমি বললাম, "অবশ্যই। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ ঘরের ভেতর কেন প্রস্রাব করবে? শারীরিক বা মানসিক সমস্যা থাকলে সেটা অন্য বিষয়।"


ততক্ষণে আমার পেট ফেটে যাওয়ার দশা। এর ভেতর ভাগ্নে বললো, "মামা তাহলে এই হাদিসটা শোনো উমায়মাহ্ বিনতু রুক্বায়ক্বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী(সা:) -এর খাটের নিচে একটি কাঠের গামলা ছিল। তিনি রাতে এতে প্রস্রাব করতেন।


তুমি যেহেতু সকল বিষয়ে সুন্নাহ পালনের পক্ষের লোক, তাহলে এই সুন্নাহটাও পালন করো। ঐ দেখো তোমার জন্য গামলা রেডি করে রেখেছি। অবশ্য কাঠের গামলা পাইনি, স্টিলের গামলা পেয়েছি। তুমি ওটাতেই প্রাকৃতিক কাজ সম্পাদন করো। এই আমি চোখ বুজলাম।"


এই বলে ভাগ্নে দুই হাত দিয়ে তার দুই চোখ ঢাকলো। ভাগ্নেকে চোখ বন্ধ করতে দেখে সুযোগ পেয়ে আমি দ্রুত বাথরুমে ঢুকে গেলাম। এইবারের মত নাহয় ভাগ্নের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আসতে পারলাম, পরের বার ভাগ্নেকে কি মোক্ষম জবাব দেয়া যায় সেটাই ভাবতে লাগলাম।


Nafis Sadique Shatil

নাফিস সাদিক শাতিল

মন্তব্যসমূহ